ইবাদতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিনগুলো
- ০৮ এপ্রিল, ২০২৪ @ ১২:০০ এএম
ইবাদতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিনগুলো আমাদের দোরগোড়ায় উপস্থিত। প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রমজানের শেষ দশকে জীবনের সবচেয়ে বেশি ইবাদতে মগ্ন হতেন। ইতিকাফ এই দশকের শ্রেষ্ঠ ইবাদত। দ্বিতীয় হিজরীতে রোযা ফরজ হওয়ার পর থেকে মৃত্যু পর্যন্ত নবীজি সা. কখনো ইতিকাফ ত্যাগ করেননি।
ইতিকাফ অনেকটা দাবি আদায়ের জন্য কারো চৌকাঠে বসে যাওয়ার মতো ব্যাপার। দুনিয়ার সকল ব্যস্ততাকে ছুটি দিয়ে কাঁথা-বালিশ নিয়ে আল্লাহর ঘরে বসে যাওয়ার নাম ইতিকাফ।
ইতিকাফের আবেদন অনেকটা এমন—যেন ক্ষমা না নিয়ে ঘরে ফিরব না। ইতিকাফের মাধ্যমে লাইলাতুল কদরে ইবাদতের পথ সবচেয়ে সহজ হয়।
কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হলো, যে ইবাদত নবীজি সা. জীবনে একবারও বাদ দেননি, সেই ইবাদত আমরা অনেকে জীবনে একবারও করতে পারিনি। অথচ ইতিকাফ এমন একটি ইবাদত যার তৃপ্তি মানুষকে বারবার ইতিকাফ করতে উৎসাহিত করে।
যে আল্লাহ বছরে ৩৬৫ টি দিন দিলেন, সেই আল্লাহর জন্য আমরা কি দশটা দিন উৎসর্গ করতে পারি না! আসুন, আমরা ইতিকাফের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করি।
রমজানের শেষ দশকে প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ছয়টি কাজ করতেন।
এক. ইতিকাফ।
দুই. জীবনের অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি ইবাদত সাধনায় রত থাকা।
তিন. রাত্রি জাগরণ।
চার. পরিবারকে ঘুম থেকে ডেকে তোলা।
পাঁচ. কোমর বেঁধে ইবাদতে মগ্ন হওয়া।
ছয়. লাইলাতুল কদর তালাশের আশায় শেষ দশ রাতে (বিশেষত বেজোড় রাতগুলোতে) ইবাদত করা।
আল্লাহ আমাদের ও আমাদের পরিবারকে হক আদায় করে