১৮ অক্টোবর, ২০২৫
বছর ব্যাপী কুরআন পাঠ ও প্রতিযোগিতায় উত্তীর্ণদের আনন্দঘন উপস্থিতিতে সম্পন্ন হলো চূড়ান্ত পর্বের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান। (১৮ অক্টোবর, শনিবার) আস-সুন্নাহ...
আরও পড়ুন১৮ অক্টোবর, ২০২৫
বছর ব্যাপী কুরআন পাঠ ও প্রতিযোগিতায় উত্তীর্ণদের আনন্দঘন উপস্থিতিতে সম্পন্ন হলো চূড়ান্ত পর্বের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান। (১৮ অক্টোবর, শনিবার) আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের অডিটোরিয়ামে সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে দুপুর ১২ টায় সম্পন্ন হয়েছে এই অনুষ্ঠান।কুরআন পাঠ ও প্রতিযোগিতাকে কেন্দ্র করে ২০২৪ সালকে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন ‘কুরআন বর্ষ’ ঘোষণা করেছিল। এই বর্ষে সারা দেশের নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ কুরআন পাঠে নিমগ্ন হয়। পাঁচ ধাপের প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিল লক্ষাধিক মানুষ। এর মধ্যে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, প্রকৌশলী, চিকিৎসক, বুয়েট-ঢাবিসহ পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী; এমনকি খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষও। চূড়ান্ত পর্বে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে একশত সতেরো জনকে পুরস্কৃত করা হয়েছে কাল। কুরআন পাঠ ও প্রতিযোগিতায় উত্তীর্ণদের মাঝে মোট ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম স্থান অর্জনকারী তিনজন আসছে নভেম্বরেই পাচ্ছেন উমরায় যাওয়ার সুযোগ। প্রথম স্থান অর্জনকারীরা হলেন- দক্ষিণ বারিধারার এবিসি ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের শিক্ষার্থী কে এম ইউসুফ নূর, দ্বিতীয় স্থান এশিয়া প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যায়ের বিবিএর শিক্ষার্থী ফাহিম আশরাফ, তৃতীয় স্থান অর্জন করেছেন রাজশাহী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডেন্টাল সার্জন আফসানা মিম।দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছেন তিনজন। ইন্টার ফার্স্ট ইয়ারের শিক্ষার্থী সুমাইয়া, গৃহিণী উম্মে মারয়াম ও সায়মা আক্তার তিন্নি। ৩ জনের প্রত্যেকে পেয়েছেন ৫০ হাজার টাকা সমমূল্যের পারিবারিক লাইব্রেরি। তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে ৬ জন। বুয়েটের লেকচারার, শেখ আজিজুল হাকিম, মাদরাসা শিক্ষার্থী মুয়াজ মুহাম্মাদ আজাদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আমজাদ হোসেন, ডাক্তার লিওজা আরা তোহফা, গৃহিণী নিগার সুলতানা ও নুরানী শিক্ষক মো. ইবরাহিম। ৬ জনের প্রত্যেকে পেয়েছেন ট্যাব। চতুর্থ স্থান অর্জন করেছেন ১০৫ জন। প্রত্যেকে পেয়েছেন ১ হাজার টাকা সমমূল্যের রকমারি গিফট ভাউচার।লক্ষণীয় বিষয় হলো দ্বিতীয় স্থান অর্জনকারী ৩ জনই নারী। এছাড়াও উত্তীর্ণদের মধ্যে নারীদের সংখ্যা বেশি। এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয়, দীনি চেতনা লালন ও জ্ঞানচর্চায় নারীরা পুরুষদের থেকে পিছিনে নেই।অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ। তিনি বলেন, প্রত্যেক মুসলমানের উচিত দিনের একটা নির্দিষ্ট সময়ে প্রতিদিন কুরআন তিলাওয়াত ও অনুধাবন করা এবং তদনুযায়ী জীবন পরিচালনা করা।শায়খ আহমাদুল্লাহ আরও বলেন, ‘আমরা যদি কুরআনকে বুঝে জীবন গড়তে পারি, তবেই সমাজ ও পরিবার থেকে অশান্তি, অনৈতিকতা দূর হবে।’অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার সাব্বির আহমাদ। তিনি বলেন, এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আমরা তরুণ প্রজন্মের মধ্যে কুরআনের প্রতি আগ্রহ ও অনুরাগ বাড়াতে চাই। কুরআনের আলোয় আলোকিত এই প্রজন্মই একদিন নৈতিক সমাজ গঠনে নেতৃত্ব দেবে, ইনশাআল্লাহ।’এছাড়া পুরস্কার বিজয়ীরা তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করেন।অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, প্রতিযোগিতা পরিচালনা টিম ও কুরআনপ্রেমী শিক্ষক-শিক্ষার্থী। উল্লেখ্য, উমরাহ বিজয়ী ফাহিম আশরাফ কিছু দিন ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তাঁর পক্ষ থেকে উমরাহর পুরস্কার গ্রহণ করেছেন তার বাবা। উপস্থিত ছিলেন পরিবারের সদস্যবৃন্দ। উপস্থিত সবাই ফাহিম আশরাফের মাগফেরাতের জন্য দোয়া করেন এবং শায়খ আহমাদুল্লাহ পরিবারকে সান্ত্বনা জানান।
১০ নভেম্বর, ২০২৫
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে পবিত্র সীরাতুন্নবী (সা.) মাহফিল। এতে প্রধান আলোচকের বক্তব্য দেন বিশিষ্ট ইসলামি ব্যক্তিত্...
আরও পড়ুন
১০ নভেম্বর, ২০২৫
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে পবিত্র সীরাতুন্নবী (সা.) মাহফিল। এতে প্রধান আলোচকের বক্তব্য দেন বিশিষ্ট ইসলামি ব্যক্তিত্ব, লেখক, আলোচক ও আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ।WhatsApp Image 2025-11-10 at 11.31.09 AM.jpeg 150.38 KBশায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, ‘ইসলাম শুধু ইবাদতের ধর্ম নয়, ইসলাম ন্যায়, ইনসাফ ও মানবকল্যাণের এক পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা। অর্থনীতি, কর্মক্ষেত্র, লেনদেন, প্রশাসন ও জীবনের সর্বক্ষেত্রে নৈতিকতার বাস্তবায়নই হলো প্রকৃত ইসলামি চেতনা। এক্ষেত্রে আমাদের প্রোজ্জল দৃষ্টান্ত সাহাবায়ে কেরাম। সাহাবিদের অর্থনৈতিক স্বচ্ছতা উম্মহর জন্য অবশ্য অনুসরণীয়।’এছাড়াও তিনি সততা, আমানতদারিতা ও ন্যায়সঙ্গতভাবে জীবন পরিচালনার জন্য সীরাতের আলোকে দিকনির্দেশনামূলক আলোচনা পেশ করেন। সেই সাথে ইনসাফ ও শরিয়াহভিত্তিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার বাস্তবায়নেরও আহ্বান জানান তিনি।WhatsApp Image 2025-11-10 at 11.31.11 AM (1).jpeg 218.16 KBউপস্থিত ব্যাংকের কর্মকর্তা ও বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গের প্রতি প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, আমাদের দেশে এমনকি বিশ্বজুড়ে এই যে এত দারিদ্র্য, এত ইনজাস্টিস, এত বাই ডিফল্ট অর্থ সম্পদ যে একটা নির্দিষ্ট শ্রেণির মানুষের হাতে চলে যাচ্ছে, এটা প্রচলিত ইকোমিক সিস্টেমের ত্রুটি কি না, সেটা আমাদের খুঁজে বের করতে হবে।তিনি আরও বলেন, পৃথিবীজুড়ে যে ব্যাংকিং সিস্টেম দাঁড়িয়ে আছে তা সত্যিকার অর্থে দারিদ্র্য বিমোচনে ভূমিকা রাখছে নাকি সর্বস্তরের সাধারণ মানুষের অর্থ-সঞ্চয় নিয়ে ধনী, প্রভাবশালী ব্যক্তি-গোষ্ঠী এবং করপোরেশনগুলোকে শক্তিশালী করা, তাদের বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং আরও পাওয়ারফুল করার কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে—এই প্রশ্নও নিজেদের প্রতি রাখতে হবে।শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, রাজনৈতিক বা মতাদর্শিক স্বার্থে যেন ব্যাংকব্যবস্থা ব্যবহৃত না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তবেই সীরাতে রাসুলের আলোকে সত্যিকারের ইনসাফ প্রতিষ্ঠা হবে।অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. জাকির হোসেন চৌধুরী। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংক কেন্দ্রীয় মসজিদ কমিটির সভাপতি মো. আনিচুর রহমান, অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আফতাব উদ্দিন।
৪ অক্টোবর, ২০২৫
রোমের কলোসিয়াম থেকে নিয়ে আজ পর্যন্ত মানব ইতিহাসে বহু বর্বর ঘটনা ঘটেছে। তবে আজকের পৃথিবীতে ফিলিস্তিনের গাজায় যে নৃশংস নির্মমতা চলছে—এটি ইতিহাসের সবচেয়ে...
আরও পড়ুন
৪ অক্টোবর, ২০২৫
রোমের কলোসিয়াম থেকে নিয়ে আজ পর্যন্ত মানব ইতিহাসে বহু বর্বর ঘটনা ঘটেছে। তবে আজকের পৃথিবীতে ফিলিস্তিনের গাজায় যে নৃশংস নির্মমতা চলছে—এটি ইতিহাসের সবচেয়ে বর্বরোচিত ঘটনা। পুরো পৃথিবীবাসী যেন গাজা নামক একটি স্টেডিয়ামের চারপাশে বসে আছে, আর স্টেডিয়ামের ভেতরের এই ভূখণ্ডটুকুতে আয়োজন করে উৎযাপনের সাথে তিলে তিলে কিছু মানুষকে নিষ্পেষণ করা হচ্ছে। আজ ৪ অক্টোবর (শনিবার) দক্ষিণ কোরিয়ার সংউরি মসজিদ কমিটির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে ৩য় বার্ষিক ইসলামিক কনফারেন্স। এতে আলোচক হিসাবে ছিলেন জননন্দিত ইসলামি আলোচক শায়খ আহমাদুল্লাহ ও ড. মিজানুর রহমান আজহারী। শায়খ আহমাদুল্লাহ ‘মুসলিম আত্মপরিচয় সংরক্ষণ ও আধুনিক যামানার চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক বক্তব্যে এসব কথা বলেন।কোরিয়া প্রবাসী বাংলাদেশিদের এই আয়োজনে তিনি বলেন, ‘মুসলিম পরিচয় কেবল নাম বা বংশপরিচয়ের জন্য নয়, এটি একটি মহান দায়িত্ব। আর প্রত্যেকেই তার দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। মুসলমানদের উচিত নিজের আত্মপরিচয়কে দৃঢ়ভাবে ধরে রাখা এবং আধুনিক বিশ্বের সকল চ্যালেঞ্জের মুখে ঈমানের ওপর সুদৃঢ় থাকা।’ ‘মুসলিম আত্মপরিচয় সংরক্ষণ ও আধুনিক যামানার চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক বক্তব্য প্রদান করছেন শায়খ আহমাদুল্লাহএছাড়াও বিদেশের মাটিতে মুসলিম আইডেন্টিটি সংরক্ষণ এবং ঈমান ও তাকওয়ার সাথে সততাপূর্ণ জীবনযাপনের ব্যাপারে কোরিয়াস্থ প্রবাসী বাংলাদেশিদের উদ্দ্যেশ্যে শায়খ আহমাদুল্লাহ কুরআন-সুন্নাহর আলোকে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করেন।অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন আলহাজ্ব এম জামান সজল। উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের মান্যবর রাষ্টদূত তৌফিক ইসলাম শাতিল। আরো উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বাংলাদেশি মসজিদসমূহের ইমামগণ এবং বাংলাদেশি কমিউনিটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃত্বশীল ব্যক্তিবর্গ।
২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
প্রবাসী বাংলাদেশিদের দাওয়াতি সংগঠন ফজর গ্রুপের আমন্ত্রণে অস্ট্রেলিয়া সফর করেছেন প্রখ্যাত ইসলামিক স্কলার, লেখক, খতিব ও দাঈ শায়খ আহমাদুল্লাহ। ১৭ সে...
আরও পড়ুন
২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
প্রবাসী বাংলাদেশিদের দাওয়াতি সংগঠন ফজর গ্রুপের আমন্ত্রণে অস্ট্রেলিয়া সফর করেছেন প্রখ্যাত ইসলামিক স্কলার, লেখক, খতিব ও দাঈ শায়খ আহমাদুল্লাহ। ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর এগারো দিনের সফরে তিনি বেশ কিছু দাওয়াতি প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করেন। দাওয়াতি প্রোগ্রামের পাশাপাশি প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিভিন্ন মিলনমেলায়ও অংশ নেন তিনি। শায়খ আহমাদুল্লাহর এই সফরকে কেন্দ্র করে সিডনি প্রবাসী বাংলাদেশিদের মাঝে উৎসবের আমেজ সৃষ্টি হয়।অস্ট্রেলিয়ার গ্র্যান্ড মুফতি শায়খ আহমাদুল্লাহকে ফুল দিয়ে বরণ করছেনসফর কালে শায়খ আহমাদুল্লাহ প্রবাসী বাংলাদেশিদের বসবাসরত বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন, তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও মতবিনিময়ও করেন। প্রবাসীদের বড় একটা অংশ সাধারণত পারিবারিক সমস্যা ও দাম্পত্য সম্পর্কীয় বিভিন্ন জটিলতায় ভোগেন। শায়খ আহমাদুল্লাহ কুরআন-সুন্নাহর আলোকে প্রবাসীদের পরিবারিক সংকট সমাধান ও সুখীময় দাম্পত্য জীবন গঠনে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন।১৯ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) সিডনির সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন মসজিদ আল বাইত আল ইসলামে জুমার খুতবা ও ইমামতি করেন শায়খ আহমাদুল্লাহ। এ সময় তাকে ফুল দিয়ে বরণ করেন অস্ট্রেলিয়ার গ্র্যান্ড মুফতি ড. ইব্রাহীম আবু মুহাম্মাদ।মসজিদ আল বাইত আল ইসলামে জুমার খুতবা২০ সেপ্টেম্বর সিডনির ডায়মন্ড ভেন্যুস গ্রুপ মিলনায়তনে প্রবাসী বাংলাদেশিদের উদ্যোগে এক দ্বীনি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন শায়খ আহমাদুল্লাহ। দীর্ঘ দুই ঘণ্টাব্যাপী বক্তব্য ও শ্রোতাদের নানা প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি। আয়োজকদের মতে, প্রবাসে তাদের আয়োজিত অনুষ্ঠানগুলোর মধ্যে এটি ছিল উপস্থিতির দিক থেকে সবচেয়ে বড় দ্বীনি সমাবেশ।তবে আসন সংখ্যা সীমিত হওয়ায় অনেক দর্শক অংশ নিতে পারেন নি। তাই একই ভেন্যুতে ২৬ সেম্টেম্বর আরেকটি দ্বীনি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে শায়খ আহমাদুল্লাহ ‘প্র্যাক্টিসিং ইসলাম ইন মাল্টি কালচারাল সোসাইটি’ শীর্ষক বিষয়ে ঘণ্টাব্যাপী বক্তব্য প্রদান করেন।ফজর গ্রুপ আয়োজিত অনুষ্ঠানশায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, ‘বহু সংস্কৃতির সমাজে ইসলামি জীবনধারায় চলতে হলে নিয়মিত ইসলাম চর্চা ও অনুশীলনের ভেতর থাকতে হবে। অন্যথায় ভিন্ন কালচারের প্রভাবে ইসলামি জীবনধারা থেকে দূরে সরে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’ তাই প্র্যাক্টিসিং মুসলিম হতে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসীদের উদ্দেশে শায়খ আহমাদুল্লাহ বিশেষভাবে আহ্বান জানান।প্র্যাক্টিসিং মুসলিম হওয়ার জন্য শায়খ আহমাদুল্লাহ প্রবাসীদেরকে সাতটি পয়েন্টে দিকনির্দেশনা দেন। ১. ঈমান মজবুতকরণ ২. দ্বীনের বেসিক নলেজ অর্জন ৩. সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে সালাত আদায় ৪. নিয়মিত কুরআন তিলাওয়াত ও শয়তান থেকে আত্মরক্ষার জিকির-আজকার পাঠ ৫. দ্বীনদার মুসলিম সোসাইটি ও সার্কেল মেইনটেন ৬. প্রবাস জীবনে দাওয়াতি কাজের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা ৭. ঈমান-আমল রক্ষায় আল্লাহর কাছে কায়মনোবাক্যে দোয়া করা এছাড়াও শায়খ আহমাদুল্লাহ সেন্ট মেরিস মসজিদ, ক্যানবেরার গুঙ্গাহলিন মসজিদসহ বিভিন্ন দ্বীনি মজলিস ও ঘরোয়া আয়োজনে প্রবাসী বাংলাদেশিদের কুরআন-সুন্নাহভিত্তিক দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।শ্রেুাতাদের একাংশ২৬ সেম্টেম্বর অস্ট্রেলিয়ার গ্র্যান্ড মুফতি ও আল আযহার বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রফেসর ড. ইব্রাহীম আবু মুহাম্মাদ শায়খ আহমাদুল্লাহকে মধ্যাহ্নভোজে আমন্ত্রণ জানান এবং উলংগংয়ে অবস্থিত ইমাম নববী সেন্টার ঘুরে দেখান। স্থানীয় মুসলিমরা চাঁদ দেখা নিয়ে তিন গ্রুপে বিভক্ত। এই সময়ে তিনি এক দিনে ঈদ ও রোজা পালনের সম্ভাব্যতা নিয়ে গ্র্যান্ড মুফতির সঙ্গে মতবিনিময়ও করেন।এগারো দিনের এই দাওয়াতি সফরের সর্বশেষ দিন তিনি লাকেম্বায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের মাধ্যমে পরিচালিত দারুল উলুম মাদরাসা মসজিদে ‘অধুনাকালের ফিতনা, ঈমান রক্ষার চ্যালেঞ্জ ও করণীয়’ বিষয়ে জুমার খুতবা প্রদান করেন।দাওয়াতি কাজের পাশাপাশি এই সফরে শায়খ আহমাদুল্লাহ অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন ঐতিহাসিক ও দর্শনীয় স্থানও পরিদর্শন করেন।২৭ সেপ্টেম্বর, এগারো দিনের দাওয়াতি সফর শেষে শায়খ আহমাদুল্লাহ মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সে দেশে ফেরেন।
২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
গতকাল ২০ সেপ্টেম্বর (শনিবার) সিডনির ডায়মন্ড ভেন্যুস গ্রুপ মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে দীর্ঘ দুই ঘন্টাব্যাপী বক্তব্য ও প্রশ্নোত্তর দেন বাংলাদেশের খ্যাতন...
আরও পড়ুন
২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
গতকাল ২০ সেপ্টেম্বর (শনিবার) সিডনির ডায়মন্ড ভেন্যুস গ্রুপ মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে দীর্ঘ দুই ঘন্টাব্যাপী বক্তব্য ও প্রশ্নোত্তর দেন বাংলাদেশের খ্যাতনামা আলেম ও দাঈ শায়খ আহমাদুল্লাহ। সন্ধ্যায় ছয়টা থেকে শুরু হওয়া এ অনুষ্ঠানটি আয়োজন করেছে সিডনি প্রবাসী বাংলাদেশিদের সংগঠন ফজর গ্রুপ।শ্রোতাদের একাংশশায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, ‘পরিবার হলো মানবসভ্যতার মূল ভিত্তি। মানুষের মানসিক প্রশান্তির মূলসূত্র। মানবসভ্যতা টিকিয়ে রাখতে পরিবারব্যবস্থা মজবুত করার বিকল্প নেই। বর্তমানে এই আধুনিক সমাজের চতুর্দিকে কান পাতলেই শোনা যায় পরিবার ভাঙার আওয়াজ, যা সুস্থ্য সমাজের জন্য অশনিসংকেত। পশ্চিমা সংস্কৃতির প্রভাব এবং ধর্মীয় অনুশাসনের শিথিলতা আমাদের পরিবারব্যবস্থাকে দিন দিন সংকটাপন্ন করে তুলছে।’শ্রোতাদের উদ্দেশ্যে শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, ‘সর্বোচ্চ স্যাক্রিফাইস করে হলেও দাম্পত্য সম্পর্কগুলো আমাদের টিকিয়ে রাখতে হবে। পরিবারে দীন চর্চা এবং পশ্চিমাদের ধ্বংসাত্মক কালচার থেকে আত্মরক্ষা ছাড়া যা অসম্ভব প্রায়। পরিবার বাঁচাতে প্রয়োজন নানামুখী ত্যাগ, সবর ও শোকরের চর্চা।’‘পরিবার ব্যবস্থাপনার সংকট ও দাম্পত্য সম্পর্কের গুরুত্ব’ বিষয়ে আলোচনা করছেন শায়খ আহমাদুল্লাহকুরআন-হাদিসের আলোকে শায়খ আহমাদুল্লাহ পরিবার ব্যবস্থাপনার সংকট ও দাম্পত্য সম্পর্কের গুরুত্ব ব্যাখ্যা ছাড়াও দর্শকদের নানা প্রশ্নের উত্তর দেন।অনুষ্ঠানের শুরুতে কুরআন তেলাওয়াত করেন সিডনির সেন্ট মেরিস মসজিদের ইমাম শায়খ আবু হুরাইরা, উপস্থাপনা করেন মুনির রহমান। প্রায় নয় শতাধিক নারী ও পুরুষ অংশগ্রহণ করেন এই অনুষ্ঠানে। শায়খের এই সফরকে কেন্দ্র করে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে সিডনি প্রবাসী বাংলাদেশিদের মাঝে।
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
১৯ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) অস্ট্রেলিয়ার সিডনি শহরের সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন মসজিদ আল বাইত আল ইসলাম (অস্ট্রেলিয়ান ইসলামিক হাউস)-এ জুমার খুতবা প্রদান করেন বাংল...
আরও পড়ুন
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
১৯ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) অস্ট্রেলিয়ার সিডনি শহরের সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন মসজিদ আল বাইত আল ইসলাম (অস্ট্রেলিয়ান ইসলামিক হাউস)-এ জুমার খুতবা প্রদান করেন বাংলাদেশের প্রখ্যাত ইসলামি ব্যক্তিত্ব, লেখক ও আলোচক শায়খ আহমাদুল্লাহ। ‘ইসলাম প্রচারে মুসলমানদের কার্যকরী ভূমিকা’ বিষয়ে খুতবা দেন তিনি । এ সময় তাকে ফুল দিয়ে বরণ করেন অস্ট্রেলিয়ার গ্র্যান্ড মুফতি ড. ইব্রাহীম আবু মুহাম্মাদ। শায়খ আহমাদুল্লাহকে বরণ করছেন অস্ট্রেলিয়ার গ্র্যান্ড মুফতি ড. ইব্রাহীম আবু মুহাম্মাদ খুতবায় শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, ‘অমুসলিমরা ইসলামকে বই পড়ে যতটা না চিনবে, তারচেয়ে বেশি চিনবে মুসলমানদের চরিত্র দেখে। মুসলমান যদি নিজের জীবনে কুরআন-সুন্নাহর পূর্ণাঙ্গ শিক্ষা প্রতিফলিত করে, তবে সেটিই হবে এই সময়ে সবচেয়ে কার্যকরী দাওয়াহ।’ তিনি আরও বলেন, ‘আজকের পৃথিবীতে ইসলামকে যখন ভুলভাবে উপস্থাপন করার প্রবণতা বেড়েছে, এই সময়ে আমাদের দায়িত্ব হলো জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে নবীজির (সা.)-এর আদর্শকে পূর্ণাঙ্গ ধারণ করা। পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র—সকল ক্ষেত্রে নবী করিম (সা.)-এর আদর্শের প্রতিফলন ঘটানো। খুতবা প্রদান করছেন শায়খ আহমাদুল্লাহ এছাড়া প্রবাসীদেরকে সুশৃঙ্খল ও সততাপূর্ণ জীবনযাপন করার ব্যাপারেও বিশেষ আহ্বান জানান শায়খ আহমাদুল্লাহ। জুমার খুতবায় স্থানীয় আলেম, কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ, প্রবাসী বাংলাদেশি ও বিপুল সংখ্যক স্থানীয় মুসল্লি উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, ২০ সেপ্টেম্বর (শনিবার) অস্ট্রেলিয়ার ডায়মন্ড ভেন্যুস গ্রুপ, ক্যান্টারবুরি রোড, পাঞ্চবোল, নিউ সাউথ ওয়েলস 2196-তে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে শায়খ আহমাদুল্লাহর বিশেষ মতবিনিময়, আলোচনা সভা ও প্রশ্নোত্তর সেশন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
পৃথিবীতে বহু রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, যারা কেবল থিওরি দিয়ে গেছেন; জীবনে কখনো রাষ্ট্র পরিচালনা করেননি। একটা আদর্শ রাষ্ট্রের রোল মডেল কীরূপ হতে পারে নবী করিম (স...
আরও পড়ুন
১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
পৃথিবীতে বহু রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, যারা কেবল থিওরি দিয়ে গেছেন; জীবনে কখনো রাষ্ট্র পরিচালনা করেননি। একটা আদর্শ রাষ্ট্রের রোল মডেল কীরূপ হতে পারে নবী করিম (সা.) নিজে রাষ্ট্র চালিয়ে তা দেখিয়ে গেছেন। পিতা হিসাবে সন্তানের প্রতি কর্তব্য কী, শুধু বলে যাননি, একজন আদর্শ পিতার বাস্তব নমুনা হয়ে পৃথিবীবাসীকে শিক্ষা দিয়েছেন। তাই শুধু অন্যকে নীতিবাক্য শোনানো নয়, নিজের জীবনে তা বাস্তবায়ন করতে হবে। শ্রোতাদের মধ্যে পিনপতন নীরবতা গতকাল (১০ সেপ্টেম্বর, বুধবার) কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজনে ‘বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সুন্নাতে রাসুলুল্লাহ (সা.)’ শীর্ষক সীরাত সেমিনার ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন নন্দিত আলোচক, প্রখ্যাত ইসলামি ব্যক্তিত্ব, দাঈ ও লেখক শায়খ আহমাদুল্লাহ। অনুষ্ঠানের মুখ্য আলোচনায় শায়খ আহমাদুল্লাহ এসব কথা বলেন। শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, আজকের পৃথিবীতে মানবাধিকার, নারী অধিকার নিয়ে কথা বলা অনেকটা ফ্যাশনের মতো। অথচ মহানবী (সা.) যেই সময় নারী অধিকার নিয়ে কথা বলেছেন, সেই সময় কন্যাসন্তান জন্ম নিলে জীবন্ত পুঁতে ফেলা হতো। কন্যাসন্তান জন্মের দায়ে বাবা সমাজ থেকে মুখ লুকিয়ে বেড়াত। অতিথির আসনে এছাড়াও তিনি বর্তমান পৃথিবীর বহুমুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নবীজির সীরাত থেকে সমাধানের রূপরেখা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আজকের পৃথিবী যখন পরিবেশ সচেতনতার কথা বলছে, নবী করিম (সা.) এ কথা আরো সাড়ে চৌদ্দশ বছর আগেই বলেছেন। নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘যদি কিয়ামত সংঘটিত হয়ে যায় আর তোমাদের কারো হাতে একটি খেজুরের চারা থাকে, তবে কিয়ামত শুরু হওয়ার আগে যদি সে তা রোপণ করতে সক্ষম হয়, তবে যেন সে তা রোপণ করে দেয়।’ দারিদ্র বিমোচন, যানজট, খাদ্য সচেতনতা, শ্রমিকের অধিকার, রাষ্ট্রের কারসাজি, ক্ষমতার অপব্যবহার, বিচারহীনতা, সংখ্যালঘুদের অধিকার, বৈষম্য-বর্ণবাদসহ পৃথিবীর নানাবিধ সংকট সমাধানে রাসুল (সা.)-এর উদ্যোগ, অবদান ও আজকের পৃথিবীর করণীয় নিয়ে শায়খ আহমাদুল্লাহ ঘন্টাব্যাপী আলোচনা করেন। নবীজীবনের আলোচনায় শ্রোতাদের গভীর মনোনিবেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উচ্ছ্বাস এবং শিক্ষকদের আন্তরিকতা, শৃঙ্খলাবোধ ও নবীজির (সা.) সীরাত চর্চার আগ্রহ দেখে শায়খ আহমাদুল্লাহ মুগ্ধ হোন। তবে হৃদয় থেকে গভীরভাবে একটি শূন্যতাও অনুভব করেন। সেটা হলো, বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক বরেণ্য প্রফেসর ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রাহিমাহুল্লাহর নামে একটি অ্যাকাডেমিক কিংবা আবাসিক হল না থাকার শূন্যতা। স্যারের নামে একটি হল করার ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টও করেন তিনি। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ, বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য ড. এম. এয়াকুব আলী ও কোষাধ্যক্ষ ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম। সভাপতিত্ব করেন,সীরাতুন নবী (সা.) উদযাপন কমিটির আহবায়ক, ধর্মতত্ব ও ইসলামী শিক্ষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড.আ.ব.ম. ছিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী।
৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার, দক্ষিণ চীন সাগরের তীরে অবস্থিত হংকং-এ ‘পবিত্র সীরাত-উন-নবী (সা.)' শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে যোগদানের উদ্দেশ্যে ৫ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের...
আরও পড়ুন
৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার, দক্ষিণ চীন সাগরের তীরে অবস্থিত হংকং-এ ‘পবিত্র সীরাত-উন-নবী (সা.)' শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে যোগদানের উদ্দেশ্যে ৫ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের প্রখ্যাত ইসলামি ব্যক্তিত্ব, সুবক্তা ও আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ ৪ দিনের সফরে হংকং গমন করেন। ৬ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব হংকং-এর আয়োজনে সেন্ট্রাল কাউলুন মসজিদ অ্যান্ড ইসলামিক সেন্টারে সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন শায়খ আহমাদুল্লাহ। হংকং-এ সীরাত শীর্ষক সেমিনার শায়খ আহমাদুল্লাহ তাঁর বক্তব্যে মহানবী (সা.)-এর জীবনের বিভিন্ন দিক বিশদভাবে তুলে ধরেন। তিনি উল্লেখ করেন, ‘সীরাত কেবল ইতিহাসের বর্ণনা নয়, বরং এটি মানবজাতির পূর্ণাঙ্গ পথনির্দেশ। মহানবীর প্রতিটি পদক্ষেপ, প্রতিটি উক্তি এবং প্রতিটি সিদ্ধান্তে রয়েছে উম্মাহর অনুসরণীয় আদর্শ।’ শায়খ আহমাদুল্লাহ তাঁর বক্তব্যে সীরাত পাঠের গুরুত্ব ও প্রাসঙ্গিকতাও তুলে ধরেন। বর্তমান সময়ে নানামুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা এবং মুসলমানদের নড়বড়ে ঈমানকে সুদৃঢ় করার জন্য উপস্থিত সবাইকে সীরাত পাঠের পরামর্শ দেন। পুরুষ শ্রোতাদের একাংশ বিশেষ করে, শায়খ আহমাদুল্লাহ সন্তানসন্ততিদেরকে সীরাত পাঠে অভ্যস্ত করার ব্যাপারে বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ইসলামের সঠিক আদর্শে গড়ে তুলতে শিশুদেরকে শৈশব থেকেই মহানবীর জীবন ও চরিত্রের সঙ্গে পরিচয় করানো অপরিহার্য। সীরাত পাঠের মাধ্যমে শিশুরা নৈতিকতা, সততা, ধৈর্য, ক্ষমা এবং অপরের প্রতি সহমর্মিতার মতো মহৎ গুণাবলি অর্জন করবে।’ অভিভাবকদের প্রতি তিনি উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে বলেন—সন্তানদের সীরাত সম্পর্কিত বই পড়তে অনুপ্রাণিত করুন এবং তাদেরকে নববী আদর্শে গড়ে তুলুন। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অনেক বাবা-মা সন্তানদের অতিরিক্ত ক্যারিয়ারিস্ট করে গড়ে তুলতে গিয়ে বস্তুবাদী জীবনধারায় এমনভাবে নিমজ্জিত করে ফেলে যে, তারা নিজেদের মূল্যবোধ ও আত্মপরিচয় থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়ে। সন্তানের ভালো ক্যারিয়ার চিন্তার পাশাপাশি তাদের আত্মপরিচয় ও ইসলামি আইডেন্টিটি যেন টিকে থাকে, সে বিষয়েও বাবা-মাকে বিশেষভাবে যত্নবান হওয়ার আহ্বান জানান শায়খ আহমাদুল্লাহ। প্রবাসীদের উদ্দেশ্যে শায়খ আহমাদুল্লাহ মূল্যবান নসীহা পেশ করেন। তিনি বলেন, ‘দেশের প্রতি প্রবাসীদের অবদান অনস্বীকার্য। প্রবাসী হিসাবে নিজ দেশের ভাবমূর্তি ও একজন মুসলিম হিসাবে ইসলামের ভাবমূর্তি রক্ষা করা প্রত্যেক প্রবাসীর নৈতিক দায়িত্ব ও কর্তব্য।’ সেই সাথে তিনি স্মরণ করিয়ে দেন যে, প্রবাস জীবনে অর্থ উপার্জনের পাশাপাশি যেন আমরা পরিবার ও সন্তানদের সঠিক তত্ত্বাবধানের ব্যাপারে অলসতা না করি। অনেক প্রবাসী শুধু অঢেল ধন-সম্পদ অর্জনের পিছনে পড়ে থাকে, অন্যদিকে নিজের পরিবার ও সন্তান বিপদগামী হয়ে পড়ে কিন্তু খোঁজ রাখে না। ফলশ্রুতিতে একটা সময় আফসোসের অন্ত থাকে না। এছাড়াও শায়খ আহমাদুল্লাহ প্রবাসীদের পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্ব বজায় রাখা, হালাল উপার্জন ও সৎভাবে জীবনযাপন করার পরামর্শ দেন। ৭ সেপ্টেম্বর তিনি তুমচং ও শাম শুই পো-তে আরো দুটি প্রোগ্রামে অংশগ্রহন করেন। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব হংকং-এর সভাপতি আশফাকুর রহমান। উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ অ্যাম্বাসির কনস্যুলেট জেনারেল ড. শাহ মুহাম্মদ তানভীর মনসূর। অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে পরিচালনা করেন মুফতি ইফতিখার হুসেন ও মাওলা মাসউদ। হংকং-এর প্রধান খতিব মুফতি মুহাম্মাদ আরশাদ ও ইসলামিক কাউন্সিল অব ইউরোপ-এর ফতোয়া বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. হাইথাম আল-হাদ্দাদের সঙ্গে আলাপচারিতা ৮ সেপ্টেম্বর হংকং-এর প্রধান খতিব মুফতি মুহাম্মাদ আরশাদ ও দি ইসলামিক কাউন্সিল অব ইউরোপ-এর ফতোয়া বোর্ডের চেয়ারম্যান শায়খ ড. হাইথাম আল-হাদ্দাদের সঙ্গে শায়খ আহমাদুল্লাহর বিশেষ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে একান্তে তাঁরা নিজেদের পারস্পরিক চিন্তা-চেতনা ও দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আলাপ করেন। উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানে প্রায় ছয় শতাধিক নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করেন। আয়োজকদের ভাষ্যমতে এপর্ন্ত তাদের আয়োজিত অনুষ্ঠানগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মানুষের উপস্থিতি ছিল এই অনুষ্ঠানে। বর্তমানে হংকং-এ নারী-পুরুষ মিলে সর্বমোট ২ হাজার প্রবাসী বাংলাদেশি অবস্থান করছেন। আজ থেকে প্রায় ৪০ বছর পূর্ব হতে বাংলাদেশিরা বিভিন্ন কাজের উদ্দেশ্যে হংকং-এ আসা-যাওয়া শুরু করে। ৪ দিনের সফর শেষে শায়খ আহমাদুল্লাহ ৯ সেপ্টেম্বর রাত ১ টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন।
২০ আগস্ট, ২০২৫
কেনিয়া ও উগান্ডা প্রবাসী বাংলাদেশিদের আমন্ত্রণে জনপ্রিয় ইসলামিক আলোচক ও দাঈ শায়খ আহমাদুল্লাহ আফ্রিকা সফর করে দেশে ফিরেছেন। ৮ আগস্ট থেকে ১৮ আগস্ট দশ দি...
আরও পড়ুন
২০ আগস্ট, ২০২৫
কেনিয়া ও উগান্ডা প্রবাসী বাংলাদেশিদের আমন্ত্রণে জনপ্রিয় ইসলামিক আলোচক ও দাঈ শায়খ আহমাদুল্লাহ আফ্রিকা সফর করে দেশে ফিরেছেন। ৮ আগস্ট থেকে ১৮ আগস্ট দশ দিনের এই সফরে শায়খ আহমাদুল্লাহ আফ্রিকার উগান্ডা ও কেনিয়ায় বেশ কয়েকটি দাওয়াতি প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করেন।উগান্ডার ইসলামিক সেমিনারের পুরুষ শ্রোতাদের একাংশ৮ আগস্ট ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্স যোগে শায়খ আহমাদুল্লাহ বাংলাদেশ থেকে কেনিয়া হয়ে উগান্ডায় পৌঁছান। যাত্রাপথে কেনিয়ার নাইরোবিয়ার বিমানবন্দরে স্বজনহীন নিঃসঙ্গ কফিনে ভরা এক প্রবাসীর লাশ দেখে জীবনের করুণ বাস্তবতা গভীরভাবে উপলব্ধি করেন শায়খ আহমাদুল্লাহ। সোশ্যাল মিডিয়ায় আবেগঘন এক পোস্টও করেন এ বিষয়ে।১০ আগস্ট উগান্ডার বাংলাদেশ কমিউনিটির উদ্যোগে আয়োজিত এক ইসলামিক কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন শায়খ আহমাদুল্লাহ। প্রবাসীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “বিদেশে আপনারা নিজ দেশ—বাংলাদেশ ও ইসলাম—উভয়েরই প্রতিনিধিত্ব করছেন। তাই আচার-আচরণ, সততা ও কাজে দায়িত্ববান হওয়ার মাধ্যমে দেশ ও দ্বীনের সুনাম অক্ষুণ্ণ রাখার ব্যাপারে প্রবাসীদের বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করেন এবং সবাইকে মিলেমিশে থাকার আহ্বান জানান।”উগান্ডার ইসলামিক সেমিনারেঅনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের আরেক সুবক্তা আব্দুল হাই মুহাম্মাদ সাইফুল্লাহ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন জনাব আব্দুল জব্বার।এছাড়া তিনি উগান্ডার একটি মাদরাসা, বেশ কিছু মসজিদ ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেন। মাদরাসার পরিবেশ, শিক্ষার মান ও শিক্ষার্থীদের কুরআন তেলাওয়াতে অভিভূত হন। উগান্ডার গ্রামীণ জনপদেও তিনি সময় কাটান এবং সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা ও পরিবেশ বোঝার চেষ্টা করেন।উগান্ডা মাদরাসা শিক্ষার্থীদের নসীহা করছেন শায়খ আহমাদুল্লাহদাওয়াতি কার্যক্রমের পাশাপাশি শায়খ আহমাদুল্লাহ উগান্ডার প্রাকৃতিক ও ভৌগোলিক বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ভ্রমণ করেন। কুরআন-হাদিসে বর্ণিত ও পৃথিবীর দীর্ঘতম নদীগুলির মধ্যে অন্যতম ঐতিহাসিক নীলনদের উৎসমুখ, কালাগালা জলপ্রপাত এবং পৃথিবীর কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে পরিচিত ইকুয়েটর বা বিষুবরেখা পরিদর্শন করেন।পৃথিবীর কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে পরিচিত ইকুয়েটর বা বিষুবরেখা পরিদর্শনেউগান্ডার মানুষদের সহজ-সরল জীবনযাপন ও শৃঙ্খলাবোধ শায়খ আহমাদুল্লাহকে অভিভূত করে। দেশটির প্রাকৃতিক সম্পদ, বিশেষত স্বর্ণের প্রাচুর্যের কথা উল্লেখ করে তিনি পশ্চিমাদের লোলুপ দৃষ্টি থেকে আল্লাহর কাছে দেশটির হেফাজত কামনা করেন এবং উগান্ডাকে দ্বীনের জন্য কবুল করে নেওয়ার দোয়া করেন। উগান্ডা সফর শেষে শায়খ আহমাদুল্লাহ কেনিয়ায় গমন করেন। কেনিয়ার মুসলিম অধ্যুষিত এলাকা মোম্বাসায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের এক মিলনমেলায় বক্তব্য প্রদান করেন এবং উপস্থিত শ্রোতাদের জীবনঘনিষ্ঠ বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। অনুষ্ঠানে প্রবাসী শিশুদের কণ্ঠে কুরআন তেলাওয়াত, ইসলামিক নাশিদ ও দেশাত্মবোধক সংগীতও পরিবেশন করা হয়।কেনিয়া প্রবাসী বাংলাদেশিদের মিলনমেলায়কেনিয়াতেও তিনি একটি মাদরাসা পরিদর্শন করেন। এছাড়া নাইরোবিয়াতে বেশ কয়েকটি মসজিদ পরিদর্শন এবং সেখানকার মানুষের জীবনযাত্রা অবলোকন করার চেষ্টা করেন। কেনিয়া সফরে তিনি আল্লাহ তায়ালার অপরূপ সৃষ্টি আফ্রিকার বিখ্যাত জঙ্গল মাসাই মারাও সফর করেন।উগান্ডার কালাগালা জলপ্রপাতে স্থানীয় মানুষদের সঙ্গেআফ্রিকা সফরের অভিজ্ঞতা, পর্যবেক্ষণ এবং উপলব্ধির আলোকে শিগগিরই একটি সফরনামা লিখবেন বলে জানিয়েছেন শায়খ আহমাদুল্লাহ। সফরনামায় আফ্রিকার মানুষে জীবন, সংস্কৃতি, ধর্ম পালন ও ঐতিহাসিক স্থানসমূহের বিস্তারিত বিবরণ থাকবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
১০ মে, ২০২৫
আধুনিক সময়ে দাওয়াতি কার্যক্রম বুদ্ধিবৃত্তিক ও প্রজ্ঞাপূর্ণভাবে উপস্থাপনের ক্ষেত্রে শায়খ আহমাদুল্লাহ অনন্য ভূমিকা পালন করছেন। বাংলাদেশের জনপ্রিয় এই আলে...
আরও পড়ুন
১০ মে, ২০২৫
আধুনিক সময়ে দাওয়াতি কার্যক্রম বুদ্ধিবৃত্তিক ও প্রজ্ঞাপূর্ণভাবে উপস্থাপনের ক্ষেত্রে শায়খ আহমাদুল্লাহ অনন্য ভূমিকা পালন করছেন। বাংলাদেশের জনপ্রিয় এই আলেম দেশে-বিদেশে নিরলস ইসলামের বার্তা ছড়িয়ে যাচ্ছেন। থাইল্যান্ডের ব্যাংককে ইতোমধ্যে দাওয়াতি কাজের অংশ হিসেবে জাপান, ভারত, আরব আমিরাত, সৌদি আরব, দক্ষিণ কোরিয়া, তুরস্ক, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, কাতার, নিউজিল্যান্ড, জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি, স্পেন, পর্তুগাল, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, বেলজিয়াম, চেক রিপাবলিক, পোল্যান্ড, ডেনমার্ক, হংকং, কেনিয়া ও উগান্ডা আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছেন। কাতারে ওলামা সমাবেশে। এসব অনুষ্ঠানে তিনি ইসলামের মৌলিক দর্শন, শিক্ষা, আদর্শ, মানবিকতা, মনুষ্যত্ব ও মূল্যবোধ বিষয়ক একাধিক বক্তব্য প্রদান করেছেন। অনুষ্ঠানগুলোতে মুসলিম যুবসমাজের অংশগ্রহণ ছিল আশাজাগানিয়া। নিউজিল্যান্ডে দেশেও শায়খ আহমাদুল্লাহ দাওয়াতি কাজে বিশেষভাবে সক্রিয়। মাহফিল-সেমিনার, দীনি হালাকাহ ও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইসলাম ও আধুনিক বিশ্বব্যবস্থা, বিজ্ঞান ও বিশ্বাসের সংযোগ, আত্মশুদ্ধি, পরিশুদ্ধ জীবনযাপন এবং সীরাত শীর্ষক আলোচনাগুলো মানুষের চিন্তা জগতে বিশেষভাবে নাড়া দিচ্ছে। শায়খ বলেন, ‘ইসলাম শুধু একটি ধর্মের নাম নয়, ইসলাম পরিপূর্ণ এক জীবনব্যবস্থা।’ জার্মানির বার্লিনে একতা, সহনশীলতা, বিশ্বাস ও পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে সবেমিলে আদর্শ সমাজ গড়ার প্রত্যয়ে শায়খ আহমাদুল্লাহ অবিরাম দাওয়াতি কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। ইতালির মিলানে। বর্তমান বিশ্বে ইসলামকে ভুলভাবে উপস্থাপন করার প্রবণতা যখন বেড়েছে, সেই সময়ে শায়খ আহমাদুল্লাহর ইসলামের সত্য ও সার্বজনীন বার্তা তুলে ধরার ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা রাখছেন।
- ১