সুনির্দিষ্ট প্রমাণ ব্যতীত কারো ব্যাপারে সন্দেহ করা অপরাধ
- ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ @ ১২:০০ এএম
ইসলাম আমাদেরকে যে জীবনবিধান দিয়েছে, সেখানে সন্দেহের বশবর্তী হয়ে কাউকে নিজে নিজে শাস্তি দেওয়া তো দূরে থাক, সুনির্দিষ্ট প্রমাণ ব্যতীত কারো ব্যাপারে সন্দেহ করাই অপরাধ।
এই পৃথিবীতে সন্দেহ থেকে বহু অন্যায়ের জন্ম হয়। আইন হাতে তুলে নেওয়া, মারামারি, পারিবারিক কলহ ও নির্যাতনের মতো অনেক অপরাধের মূলে থাকে সন্দেহ।
কিন্তু সন্দেহের কারণে কাউকে শাস্তি দেয়ার বিধান পৃথিবীর কোনো আদালতের নেই। অথচ ইসলাম চৌদ্দশ বছর আগে সন্দেহকে অন্যায় সাব্যস্ত করে সন্দেহ থেকে সৃষ্ট সকল অন্যায়ের পথ রুদ্ধ করে দিয়েছে।
মহান আল্লাহ বলেছেন, হে মুমিনগণ, তোমরা অধিক অনুমান থেকে দূরে থাক; কারণ অনুমান কোন কোন ক্ষেত্রে পাপ। (সূরা হুজরাত আয়াত ১২)
পুরুষের মনোজগতে কোনো নারী ধর্ষিত হলে সেটাকে অপরাধ বলার ক্ষমতা কোনো আদালতের নেই। কারণ সেটা সাব্যস্ত করা সম্ভব নয়। অথচ একজন নারীর জন্য এরচেয়ে বেদনার, লাঞ্ছনার, গ্লানির কোনো বিষয় আছে বলে মনে হয় না। তারপরও কোন সমাজে সেটা অপরাধ নয়।
কিন্তু ইসলাম এটাকে ভয়ংকর অপরাধ বলেছে। ইসলামে শারীরিক ধর্ষণ যেমন অপরাধ, কল্পনার জগতে ধর্ষণও অপরাধ। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম গায়রে মাহরাম নারীর প্রতি চোখের কুদৃষ্টি এবং মনের মন্দ কল্পনাকে ব্যভিচার হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। (বুখারী-মুসলিম)
সাধারণ সমাজ একজন নারীর শুধু শারীরিক নিরাপত্তার কথা বললেও ইসলাম তার মনোজগতে ধর্ষণ থেকে নিরাপত্তার কথাও বলে।
এখানেই আল্লাহর আইন আর মানবসৃষ্ট আইনের মৌলিক পার্থক্য। এটাই ইসলামী শরিয়াহর সৌন্দর্য। মানব সৃষ্ট আইনে মানুষের যেসব অধিকার সংরক্ষণ করতে পারেনি, ইসলামে সেসবও সংরক্ষণের করেছে।
এ থেকে বুঝা যায়, আপনি আপডেটেড হতে পারেন তবে ইসলামের চেয়ে বেশি নয়।
সুতরাং দিনশেষে আল্লাহর দেওয়া শরিয়াতেই রয়েছে মানবজাতির সামগ্রিক কল্যাণ। বিষয়টি আমরা যত দ্রুত উপলব্ধি করতে পারব ততই আমাদের জন্য মঙ্গল।