নিউজিল‍্যান্ডে তরুণের ইসলাম গ্রহণ

নিউজিল‍্যান্ডে তরুণের ইসলাম গ্রহণ


মনে আছে ২০১৯ সালে নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের মাসজিদ আন-নূরে খ্রিস্টান জঙ্গি ব্র্যান্টন টারান্টের বুলেটে শহীদ হওয়া ৫১ মুসল্লির কথা?



সেই মসজিদে কয়েকদিন আগে নিউজিল্যান্ডের এক খ্রিস্টান তরুণ ইসলাম গ্রহণ করেছেন। তরুণের নাম ফিলিক্স। আমার সৌভাগ্য, বাংলাদেশ থেকে ১১ হাজার মাইল দূরে বসবাসকারী সেই তরুণকে কালেমায়ে শাহাদাত পাঠ করাতে পেরেছি।



শুধু এ তরুণই নয়, সেই ঘটনার পর নিউজিল্যান্ডের বহু মানুষ ইসলামের ছায়াতলে এসেছে।



এই ঘটনা আবার মহান আল্লাহর সেই আয়াতের কথা মনে করিয়ে দেয়, যেখানে তিনি বলেছেন : তারা আল্লাহর জ্যোতিকে তাদের মুখ দিয়ে নিভিয়ে দিতে চায়, কিন্তু আল্লাহ তাঁর জ্যোতিকে পূর্ণরূপে উদ্ভাসিত করবেন।



নিউজিল্যান্ডে সফরে থাওরাঙ্গা মসজিদে আলোচনা শেষে উনিশ বছর বয়সী তানির সাথে পরিচিত হয়েছিলাম। তানি নওমুসলিম। নতুন নাম তাওফীক। জানতে চেয়েছিলাম, ইসলাম গ্রহণের আগে ও পরের কোনো পার্থক্য সে অনুভব করছে কি না?



উত্তরে তাওফীক বলেছিল, আগে জীবনের কোনো উদ্দেশ্য খুঁজে পেতাম না। এখন প্রতিটি কাজের পরিষ্কার উদ্দেশ্য খুঁজে পাই। জীবনের লক্ষ্য পরিস্ফুট হওয়ায় প্রশান্তি অনুভব করি।



সুবহানাল্লাহ! কী চমৎকার উপলব্ধি।



জন্মসূত্রে মুসলমান হয়ে আমরা ঈমানের মূল্য অনুভব করতে পারি না। বহু প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে যারা ইসলামে আসে, কেবল তারাই বোঝে, ঈমানের কী দাম ও স্বাদ!



পৃথিবীর দিকে দিকে যারা বাধার পাহাড় উপেক্ষা করে ইসলাম গ্রহণ করছেন, আল্লাহ তাদেরকে নিরাপদ রাখুন ও কবুল করুন। কবুল করুন আমাদেরকেও।