ইফতার

ইফতার


সারাদিন সিয়ামের পর সূর্যাস্তের প্রথম আহ্বানেই এক টুকরো খেজুর, এক ঢোক পানি কিংবা এক চুমুক শরবতে যে প্রশান্তি অনুভব হয়, পৃথিবীর অন্য কোন রাজসিক ভোজেও তা হয় না।



ইফতার কেবল খাদ্য নয়, হয়ে ওঠে আনন্দের উৎস, সংযমের পুরস্কার, রহমতের বারি। তাই তো ইফতারের প্রতিটি খাদ্য কণায় লুকিয়ে থাকে গভীর স্বাদ, নিবিড় অনুভূতি, এক অপার্থিব সুখ। রোযার ইফতার কেবল উদরপূর্তি নয়, বরং আত্মার এক পরম নৈবেদ্য।



সারা বছর আমরা রাতভর না খেয়ে থেকে সকালে নাশতা করি। কিন্তু সে নাশতা যত আয়োজনমুখরই হোক না কেন ইফতারের মতো অনির্বচনীয় আনন্দ-আহ্লাদ, তৃপ্তি, আত্মপ্রশান্তি তাতে থাকে না। নিশ্চয়ই এটা আল্লাহ প্রদত্ত এক অপার আনন্দ।



নবী করিম (সা.)-এর ভাষায় কথাটি ফুটে ওঠেছে এভাবে—রোযাদারের জন্য দুটো আনন্দঘন মুহূর্ত রয়েছে। একটি ইফতারের সময়, অন্যটি তার প্রতিপালকের সঙ্গে সাক্ষাতের সময়। (সহিহ বুখারি ১৯০৪)



ইহজাগতিক কাজ এবং আল্লাহর জন্য করা পরলৌকিক কাজের পার্থক্য এখানেই।