কুরবানীর পশুর বর্জ্য পরিষ্কার করা পবিত্র দায়িত্ব

কুরবানীর পশুর বর্জ্য পরিষ্কার করা পবিত্র দায়িত্ব



আপনার কুরবানীর বর্জ্য যদি অন্যের কষ্টের কারণ হয়, তবে আপনি হক নষ্টের গুনাহগার হবেন, যার পরিণতি অত্যন্ত ভয়াবহ।



বর্জ্য পরিষ্কার বিষয়ে মসজিদের ইমাম সাহেবদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে। ইমামগণ জুমা ও ঈদের খুতবায় কথা বলার সুযোগ পান। এই সুযোগ অন্য কারো নেই।



তারা যদি ঈদের খুতবায় এ বিষয়ে মুসল্লিদেরকে সচেতন করেন, আশা করা যায় অনেকেই দায়িত্বশীল হয়ে উঠবে। এতে পরিচ্ছন্ন থাকবে আমাদের দেশ।



আবার পরিচ্ছন্নতা অভিযানেও ইমামদের অবদান রাখার বিরাট সুযোগ রয়েছে।



এদেশে মসজিদের সংখ্যা প্রায় চার লক্ষ । চার লক্ষ মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিনের সংখ্যা প্রায় আট লক্ষ। আবার প্রত্যেক মসজিদে উদ্যমী তরুণের সংখ্যাও কম নয়।



ইমাম-মুয়াজ্জিনগণ কাজপাগল এইসব তরুণকে কাজে লাগাতে পারেন। ইমামদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে তরুণ প্রজন্ম যদি দলে দলে বর্জ্য অপসারণে নামে, তবে একদিকে যেমন পরিবেশ সুন্দর থাকবে, অন্যদিকে তা হয়ে উঠবে সামাজিক ঐক্য ও সম্মিলিত দায়িত্ববোধের অনন্য দৃষ্টান্ত।



এর ফলে ইমামদের প্রতি জনসাধারণের আস্থা, ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা বৃদ্ধি পাবে, পাশাপাশি মসজিদগুলো হয়ে উঠবে কল্যাণকর সামাজিক কাজের কেন্দ্রবিন্দু।



তাই এখন থেকে আমরা প্রতীজ্ঞাবদ্ধ হই, কুরবানীর বর্জ্যের মাধ্যমে আমরা অন্যের কষ্টের কারণ হব না। কুরবানীর মতো পবিত্র ইবাদতের সাথে আমরা হক নষ্টের গুনাহ মিশ্রিত করব না।