কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত সিরাত সম্মেলনে গিয়ে শিক্ষার্থীদের উচ্ছ্বাস এবং শিক্ষকদের আন্তরিকতা মুগ্ধ করলেও একটি শূন্যতা হৃদয় থেকে অনুভব করেছি। সেটা হলো, বিশ্ববিদ্যালয়টির বরেণ্য প্রফেসর ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রাহিমাহুল্লাহর নামে একটি অ্যাকাডেমিক কিংবা আবাসিক হলনা থাকার শূন্যতা। আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর স্যার ছিলেন দেশের সম্পদ এবং জাতির জন্য আল্লাহর এক নেয়ামত। তিনি শুধু প্রাজ্ঞ আলেমই ছিলেন না, তিনি ছিলেন দরদী সমাজ সংস্কারক। বক্তৃতা ও রচনার মাধ্যমে জীবনভর তিনি শিরক, বিদআত, খ্রিষ্টান মিশনারী অপতৎপরতা সম্পর্কে দেশবাসীকে সচেতন করেছেন। তার এই ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় অসংখ্য মানুষ সঠিক পথের দীশা পেয়েছে। আবার শতধা বিভক্ত জাতিকে তিনি যেভাবে ঐক্যের পথ দেখিয়েছেন, সেটাও এই দেশের প্রেক্ষিতে বিরল। তিনি আমাদেরকে প্রান্তিকতা ছেড়ে মধ্যমপন্থা শিখিয়েছেন। চিন্তার ভিন্নতা সত্ত্বেও ঈমানের অভিন্নতায় সকল মানুষকে কীভাবে কাছে টানতে হয়, শিখিয়েছেন। কুষ্টিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে তার মতো আরো অনেক গবেষক নিশ্চয় আছেন, কিন্তু তার মতো এতটা জনবান্ধব, গণমুখী এবং সর্বশ্রেণির কাছে সমাদৃত লেখক-গবেষক খুব কমই আছেন। আবার কর্মের গুণে বিশ্ববিদ্যালয়ের যে সকল শিক্ষক দেশব্যাপী পরিচিতি পেয়েছেন, তিনি তাদের শীর্ষে। শুধু তাই নয়, ইসলামিক সাবজেক্টের শিক্ষক হিসেবে ইসলামকে তিনি শুধু ক্লাসরুমেই সীমাবদ্ধ রাখেননি, বরং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক পরিচয়ে ইসলামের বার্তা নিয়ে তিনি সারা দেশ চষে বেড়িয়েছেন, ইসলামকে গণমানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন। অন্য কোনো শিক্ষকের ক্ষেত্রে এমন নজির বিরল। এর মাধ্যমে তিনি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়কেও দেশবাসীর কাছে ব্যাপকভাবে পরিচিত করেছেন। ফলে সর্বজনশ্রদ্ধেয় বরেণ্য এই আলেমের নামে বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি হল থাকা যুক্তি ও জন-আকাঙ্ক্ষার দাবি। প্রোগ্রাম শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও অন্যান্য কর্মকর্তার সঙ্গে দুপুরের খাবার খেতে খেতে এই কথাগুলোই তাদেরকে বলেছিলাম। মৌলিক গবেষণা কর্মের মাধ্যমে স্যার যে হীরকতুল্য রচনাভাণ্ডার রেখে গেছেন, বিশ্বাস করি, সেগুলোই তাকে অমর করে রাখবে। তারপরও স্যারের নামে যদি কোনো একটি হলের নামকরণ করা হয়, তবে এর মাধ্যমে তার অবদানের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়া হবে। পাশপাশি নবীন শিক্ষার্থীরাও স্যারের কল্যাণমূলক চিন্তার সাথে পরিচিত হতে উদ্বুদ্ধ হবে। তাই, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের উদাত্ত আহ্বান—ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর স্যারের নামে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো একটি হলের নামকরণ করা হোক।
আরও পড়ুন
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিশেষায়িত ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হোক, এটা বহুকাল ধরে গণমানুষের প্রাণের দাবি ছিল। সেই দাবি আজও বাস্তবায়িত হয়নি। অথচ প্রাথমিকে গানের শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এই দেশে কত পার্সেন্ট মানুষ সন্তানকে গান শেখায়? কত পার্সেন্ট মানুষ স্কুলে গানের শিক্ষক চায়? বরং অধিকাংশ অভিভাবক চায়, বিদ্যালয়ে যেন তাদের সন্তানকে গান শেখানো না হয়। এদেশের প্রায় সকল অভিভাবক সন্তানের জন্য প্রাইভেট ধর্মীয় শিক্ষক রাখেন কিংবা সন্তানকে মক্তবে পাঠান। সরকার যদি স্কুলে বিশেষায়িত ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিত, তাহলে অভিভাবকদের এই বাড়তি খরচ ও ঝামেলা পোহাতে হতো না। শিক্ষার্থীদেরও সময় বেঁচে যেত। প্রাথমিক শিক্ষার পেছনে রাষ্ট্র প্রতি মাসে শত শত নয়; বরং হাজার কোটি টাকা ব্যয় করছে। অথচ শিক্ষার মান দিন দিন অবনতির দিকে যাচ্ছে। একদিকে অভিভাবকদের আস্থা হারাচ্ছে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো, অপরদিকে কিশোর গ্যাং-এর মতো ভয়াবহ অপরাধ দিন দিন আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে। এমতাবস্থায় প্রয়োজন শিক্ষার মান উন্নয়ন এবং নৈতিক শিক্ষার প্রতি গুরুত্বারোপ। সেটা না করে কাদের খুশি করার জন্য গানের শিক্ষক নিয়োগে প্রজ্ঞাপন জারি করা হলো? সরকারের প্রতি আমাদের উদাত্ত আহ্বান—গণ-আকাঙ্ক্ষা উপেক্ষা করে বাইরে থেকে আমদানি করা কালচার চাপিয়ে দেয়ার চিরাচরিত পথ পরিহার করুন। দেশের মানুষ এসবের পরিবর্তন চায়।
আরও পড়ুন
এমন একটি বই লেখার স্বপ্ন বহুদিন ধরে পুষে এসেছি, যে বই প্রতিটি মুসলমানের দীনের অপরিহার্য জ্ঞান আহরণের প্রয়োজন পূরণ করবে। আলহামদুলিল্লাহ, বইটি লেখার কাজ আরম্ভ করেছি। বইটিতে ইসলামের মৌলিক ও অপরিহার্য বিষয়সমূহ সন্নিবেশিত হবে, যেন একজন সাধারণ মুসলমান ইসলামের প্রয়োজনীয় বিধিনিষেধ জানতে পারেন এবং দৈনন্দিন জীবনে ইসলাম পালনে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে। বইটিতে কুরআন-সুন্নাহর আলোকে ঈমান, ইবাদত, লেনদেন, বিবাহ-সহ যাবতীয় জরুরি বিষয়ের গাইডলাইন থাকবে। আল্লাহ তাওফীক দিলে বইটি আগামী ১ নভেম্বর প্রকাশিত হবে ইনশাআল্লাহ। বইটির জন্য সুন্দর, অর্থবহ, মানানসই একটি নামের প্রয়োজন। মন্তব্যের ঘরে আপনার পছন্দের নামটি লিখুন। যার নাম নির্বাচিত হবে, তার জন্য থাকবে আকর্ষণীয় পুরস্কার। পুরস্কার না জিততে পারলেও ভালো কাজে অংশগ্রহণের সওয়াব তো থাকছেই ইনশাআল্লাহ।
আরও পড়ুন
প্রতি বছর এসএসসি পরীক্ষার রেজাল্টকে কেন্দ্র করে যে লাগামহীন উন্মাদনা দেখা যাচ্ছে, তা আমাদেরকে শঙ্কিত ও ব্যথিত করছে। পরীক্ষায় ভালো ফল করা নিঃসন্দেহে আনন্দের ঘটনা। কিন্তু সেই আনন্দের উদযাপন নির্দিষ্ট মাত্রার ভেতর হওয়াই শোভনীয়। এদেশের মিডিয়াগুলোও এই পরীক্ষাকে ঘিরে যেভাবে সংবাদ কাভারেজ দেয়, অন্য কোনো দেশে এর নজির আছে বলে আমাদের জানা নেই। এই অতি উন্মাদনার কারণেই পরীক্ষায় যারা ভালো করতে পারে না, তাদের ভেতর অপরাধবোধ তৈরি হয়, তারা ডিপ্রেশনে চলে যায়। এক পর্যায়ে অনেকে আত্মহত্যার মতো ভয়ংকর সর্বনাশা পথ বেছে নেয়। এই শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার পেছনে আমাদের মিডিয়ার যেমন দায় আছে, তেমন দায় আছে সন্তানদের প্রতিযোগিতার বাজারে ছেড়ে দেয়া মা-বাবাদেরও। সামগ্রিক জীবনের সাফল্যের তুলনায় একটি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করা আঁচড় রেখে যাওয়ার মতো বড় ঘটনা নয়। তারপরও এই উন্মাদনা প্রমাণ করে, আমরা দিন দিন খুব বেশি ভোগবাদী, বস্তুবাদী এবং পরকাল ভোলা ইহজাগতিক মানুষ হয়ে উঠছি। খুব কম বাবা-মাই আছেন, সন্তানের সৎ কাজকে যারা উচ্ছ্বাস ভরা হৃদয়ে অভিনন্দিত করেন। বিপদের মুখেও ছেলে সত্য কথা বলেছে, অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছে, সুযোগ থাকার পরও ঘুস নেয়নি— এই আনন্দে বাবা-মা কখনো মিষ্টি বিতরণ করেছেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে এমন ঘটনা হয়তো একবারও ঘটেনি। অথচ জিপিএ ৫ পেলে মিষ্টির বন্যা বইয়ে দেব—এমন ঘোষণা আমরা অহরহ শুনছি। সততা নয় বরং পরীক্ষায় পাশ করাই জীবনের প্রধান লক্ষ্য হয়ে ওঠায় অনেক বাবা-মা প্রয়োজনে সন্তানের নকল করারও অনুমোদন দেন। পাশের ভালো ছাত্রের খাতা দেখে লিখতে না পারলে অনেক সন্তান ভর্ৎসনার শিকার হয়। কী অদ্ভুত মনোবৈকল্য আমাদের! জিপিএ ৫ সাময়িকের সাফল্য। কিন্তু মুমিনের জীবনে চূড়ান্ত সাফল্য তো তখনই আসবে, যখন সে জাহান্নাম থেকে বেঁচে চিরসুখের জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে। মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে এটাকেই আসল সফলতা বলেছেন। আর বুদ্ধিমান তো সে, যে কিনা সাময়িকের সাফল্যের ফাঁদে আটকা না পড়ে চূড়ান্ত সফলতার জন্য চুপচাপ কাজ করে যায়।
আরও পড়ুন
এই বৃষ্টিস্নাত দিনে ইংলিশ মিডিয়াম পড়ুয়া আলোচিত সেই মেয়েটির বাবা-মার কথা ভাবছি। নিশ্চয় বুকে জমানো সবটুকু আবেগ, ভালোবাসা ও মমতা দিয়ে তারা মেয়েটিকে বড় করছিলেন। ছোটবেলায় মেয়েটি যখন জ্বরে পড়েছে, বাবা-মার অসংখ্য নির্ঘুম রাত নিশ্চয় মেয়ের শিয়রে বসে কেটেছে। মেয়েটি কোনো কিছু পাওয়ার আব্দার করলে বাবা-মা হয়তো হৃদয় উজাড় করে তা দেয়ার চেষ্টা করেছেন। নিজেদের কষ্টার্জিত উপার্জন নিশ্চয় তারা ব্যয় করেছেন মেয়েটির সুস্থ-সবল ও হাসি-আনন্দে বেড়ে ওঠার জন্য। নিজেদের চেয়ে মেয়েকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন সবকিছুতে। মেয়ে বাবা-মার চক্ষু শীতলকারী সন্তান হবে— আর দশজন বাবা-মার মতো এমন স্বপ্ন তারাও নিশ্চয়ই লালন করতেন। কিন্তু কে জানত, জীবনের মাঝপথে এসে ডানাভাঙা পাখির মতো তাদের সকল আশা লুটিয়ে পড়বে মাটিতে! সন্তানের করা মামলায় সেই বাবা-মাকে যখন জনাকীর্ণ আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়েছিল, অসংখ্য মিডিয়ার সামনে তীর্যক গলায় মেয়েটি যখন বাবা-মাকে ক্রিমিনাল বলছিল, তাদের মনের অবস্থা কেমন হয়েছিল? নিশ্চয় তারা বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছিলেন। বড় বেশি মায়া হচ্ছে ওই হতবাক বাবা-মার জন্য। আমরা প্রায় সকলেই ছোটবেলায় মা-বাবার শাসনের মধ্য দিয়ে বড় হয়েছি। এই পরিণত বয়সে এসে সেসব দৃশ্য যখন চোখের সামনে ভেসে ওঠে, বাবা-মায়ের প্রতি শ্রদ্ধায় নুয়ে পড়ে হৃদয়, চক্ষু হয়ে ওঠে অশ্রুসজল। তাদের সেসব আদরমাখা শাসনই আমাদের আজকের সাফল্যের সিঁড়ি। আজ এই মুহূর্তে একটি কথা বড় বেশি মনে হচ্ছে, তাদের শাসন ছিল অন্যদের আদরের চেয়েও মূল্যবান, জীবনের পথ নির্দেশক। আজকাল প্রায়ই সন্তানরা আমাদের স্বপ্নভঙ্গ করছে। এর দায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে আমাদের, মা-বাবাদের। পশ্চিমা সংস্কৃতি দ্বারা প্রভাবিত হয়ে আমরা অনেক বেশি বস্তুবাদী, ভোগবাদী, আত্মকেন্দ্রীক ও ক্যারিয়ারিস্ট হয়ে উঠছি। সন্তান প্রতিপালনের ক্ষেত্রে ঈমান, আত্মপরিচয়, ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধকে আমরা উপেক্ষা করছি। সন্তানের ক্যারিয়ার, ইহজাগতিক সাফল্যই আমাদের কাছে হয়ে উঠছে প্রধান অর্জন। ফলে একটা সময় আমাদের সন্তানরা হয়ে উঠছে স্বেচ্ছাচারী, উশৃঙ্খল, বেপরোয়া। যার সর্বশেষ পরিণতি আমরা দেখলাম, অধিকার খর্বের অভিযোগে বাবা-মার বিরুদ্ধে সন্তানের মামলা। এটাই বোধহয় সতর্কতার কফিনে শেষ পেরেক। এরপরও যদি আমরা না শুধরাই, পড়াশোনার পাশাপাশি সন্তানকে আত্মপরিচয় ও মূল্যবোধ না শেখাই, তবে আফসোস, হতাশা ও স্বপ্নভঙ্গের বেদনাই হবে আমাদের চিরসাথী। সেই দুর্দিন আসার আগেই আসুন সচেতন হই।
আরও পড়ুন
হওয়ার কথা ছিল র্যাগ ডে, কিন্তু শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে র্যাগ ডে-র পরিবর্তে হলো নসীহা প্রোগ্রাম। ব্যতিক্রমী এই উদ্যোগের কৃতিত্ব ফরিদপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের বিদায়ী শিক্ষার্থীদের। প্রোগ্রামের দিন শিক্ষার্থীদের উচ্ছ্বসিত অংশগ্রহণে কলেজ অডিটোরিয়াম ছিল কানায় কানায় পূর্ণ। দীনি ও নৈতিক শিক্ষার গুরুত্ব এবং কর্মজীবনে সাফল্য লাভের উপায় সম্পর্কে বিদায়ী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে দিক-নির্দেশনা দেওয়ার সুযোগ ঘটেছে, আলহামদুলিল্লাহ। র্যাগ ডে আর অশ্লীল নাচগান যখন একে অন্যের প্রতিশব্দ হয়ে উঠেছে, তখন ফরিদপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থীদের এই আয়োজন স্রোতের বিপরীতে বুক চিতিয়ে দাঁড়াবার মতো সাহসী ঘটনা। এই অবক্ষয়ের কালে তাদের এ উদ্যোগ সময়ের গায়ে চিহ্ন রেখে যাওয়ার মতো ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
আরও পড়ুন
আলহামদুলিল্লাহ, অবশেষে পাঠ্যপুস্তকে বিতর্কিত শরীফার গল্প আর থাকছে না। গুরুত্বপূর্ণ এ কাজটির পেছনে ভূমিকা রাখায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে মহান আল্লাহ উত্তম বিনিময় দান করুন। বিশেষ করে পর্যালোচনা কমিটির আহবায়ক ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্জ ডক্টর মুহাম্মদ আব্দুর রশীদ, ডক্টর মাওলানা কফীলুদ্দীন সরকার সালেহী সহ সংশ্লিষ্টদেরকে ধন্যবাদ জানাই। মহান আল্লাহ আপনাদেরকে উত্তম বিনিময় দান করুন। সরকারকে ভুল বুঝিয়ে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের অধিকারের নামে যারা সমকামিতাকে ছড়িয়ে দিতে চেয়েছিল, তাদের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় আমরা আনন্দিত। এখন প্রয়োজন দ্রুত বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা। ভবিষ্যতেও তাদের চক্রান্তের ব্যাপারে সংশ্লিষ্টগণ সতর্ক থাকবেন বলে আমরা আশা রাখি। কিছুটা বিলম্বে হলেও বিতর্কিত গল্পটি বাদ দেওয়ার এ সিদ্ধান্তে আমরা কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই। স্বাস্থ্য সুরক্ষা বইসহ আরো যেসব বইয়ে পরিকল্পিতভাবে বিষ ঢুকানো হয়েছে সেগুলোর সংশোধনী আনাও জরুরী।
আরও পড়ুন
স্কু্ল এবং মাদরাসা দুটো দুই ধরনের প্রতিষ্ঠান। যারা সন্তানকে মাদরাসায় ভর্তি করান, তারা সচেতনভাবেই সন্তানকে ইসলামি মূল্যবোধ ও শরীয়া শেখানোর জন্য ভর্তি করান। কিন্তু সেই মাদরাসায় যদি শিল্প-সংস্কৃতির নামে শরীয়া বিরোধী ঢোল-তবলা এবং হারমোনিয়াম চাপিয়ে দেয়া হয়, সেটা কি সন্তান এবং অভিভাবকদের ওপর জুলুম নয়? জনসাধারণেন ওপর এই জুলুম করার অধিকার কি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আছে? যদি মাদরাসার স্বকীয়তা বজায় রাখার সদিচ্ছা না-ই থাকে, তবে বিপুল অর্থ খরচ করে শুধু শুধু এই প্রতিষ্ঠান রেখে লাভ কী! বন্ধ করে দিন এই প্লাটফরম। এতে জনগণ অন্তত বিভ্রান্তি থেকে বেঁচে যাবে। শিল্প-সংস্কৃতি মানে কি শুধুই ঢোল-তবলা-হারমোনিয়াম? কোনো অভিভাবক কি ঢোল-তবলা শেখার জন্য সন্তানকে মাদরাসায় ভর্তি করে? অনুগ্রহ করে এই স্বেচ্ছাচারিতা এবং হঠকারিতা বন্ধ করুন। নতুবা এভাবে চলতে থাকলে এই শিক্ষাব্যবস্থা থেকে জনগণ মুখ ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হবে। সরকার-সহ সংশ্লিষ্ট মহল— কারো জন্যই সেটা সুখকর হবে না।