ফেসবুক থেকে | সীরাত

videocard
সীরাতগ্রন্থ পাঠের পরামর্শ

রবিউল আউয়াল মাসে হলেও নবীজির একটি সীরাতগ্রন্থ পড়ুন। (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)

আরও পড়ুন

videocard
প্রিয় নবীর যুদ্ধ

প্রিয় নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর অংশগ্রহণ করা ২৭ টি যুদ্ধে উভয়পক্ষে মারা গেছে মোট চারশ বা এর সামান্য বেশি মানুষ। তাদের প্রত্যেকে আবার ছিলেন সামরিক যোদ্ধা। আজকের পৃথিবীতে এক বোমার আঘাতেই চারশর বেশি মানুষ মারা যায়। যাদের বেশিরভাগই আবার নারী-শিশু-বৃদ্ধ সহ বেসামরিক সাধারণ মানুষ। এরপরও আপনাকে বলতে হবে আজকের পৃথিবী সভ্য! নবীজি (সা.) এবং তাঁর সৈনিকেরা কখনো কোনো নারী কিংবা শিশুর গায়ে ফুলের টোকাও দেননি। অথচ আজ প্রতিটি রণাঙ্গণে কান পাতলেই শোনা যায় নারী ও শিশুর আর্তনাদ। এরপরও আপনাকে বলতে হবে, আজকের পৃথিবী অনেক মানবিক! নবীজি (সা.) কখনো উপাসনালয়ে থাকা যাজকদের হ$ত্যা করেননি। অথচ আজ বেছে বেছে ধর্মীয় উপাসনালয় ও ধর্মীয় নেতাদের টার্গেট করা হয়। এরপরও আপনাকে বলতে হবে, আজকের পৃথিবী সংখ্যালঘুদের ব্যাপারে সংবেদনশীল! নবীজি (সা.)-এর খলিফা আবু বকর (রা.) যুদ্ধের সময় সৈনিকদের গাছপালা ও ফসল নষ্ট করতে নিষেধ করেছেন। অথচ আজ নির্বিচারে কা$র্পেট বো$মা মেরে পরিবেশ ও প্রকৃতি ধ্বংস করা হয়। এরপরও আপনাকে বলতে হবে, আজকের পৃথিবী অনেক বেশি পরিবেশ সচেতন। নবীজি (সা.) লাশের সাথে অমানবিক আচরণ করতে নিষেধ করেছেন। অথচ আজ মৃত লাশ নিয়ে পৈশাচিক আনন্দ করা হয়। এরপরও আপনাকে বলতে হবে, আজকের পৃথিবী মানবাধিকারের উর্বরভূমি নবীজি (সা.) সম্মুখ যু$দ্ধেও প্রতিপক্ষের আক্রমণের অপেক্ষা করতেন, আক্রমণের আগে তাদের শেষবারের মতো দাওয়াত দিতেন, অথচ আজ ক্ষমতাধরেরা যখন যেখানে খুশি এমনকি রাতে আঁধারে ঘুমন্ত মানুষের ওপর হামলা করে। এরপরও আপনাকে বলতে হবে, আজকের পৃথিবী শান্তিকামী।

আরও পড়ুন

videocard
সীরাতগ্রন্থ পাঠের গুরুত্ব

আসুন, রাসুল সা. এর ভালোবাসায় উদ্দীপিত হওয়ার জন্য একটি হলেও তার পূর্ণাঙ্গ জীবনীগ্রন্থ পাঠ করি।আজ পর্যন্ত পৃথিবীতে যত অমুসলিম ইসলাম গ্রহণ করেছেন, তাদের অধিকাংশই রাসুলের সা. জীবন পাঠ ও তার আদর্শে বিমোহিত হয়ে ইসলাম গ্রহণ করেছেন।একজন মুসলিম হিসেবে আমাদের ঈমানের দাবি— রাসুল সা.-কে পৃথিবীর সবকিছুর চেয়ে বেশি ভালোবাসা। আর রাসুলের সা. প্রতি ভালোবাসা বৃদ্ধির সবচেয়ে কার্যকরী মাধ্যম হলো তাকে জানা ও তার জীবনী পাঠ করা।তিনি এমন মানুষ ছিলেন, জন্মের আগ থেকেই নানা ধরনের প্রতিকূলতার উপলক্ষ তাকে ঘিরে তৈরি হয়েছে। মাথার ওপর থেকে একের পর এক সরে গেছে অভিভাবকদের ছায়া। স্বগোত্রীয়দের নির্যাতন ও ষড়যন্ত্রে বাধ্য হয়ে তাকে জন্মভূমি পর্যন্ত ত্যাগ করতে হয়েছে।এতসব প্রতিকূলতার পরও যে মানুষটি মাত্র তেইশ বছরের রিসালাতি জীবনে চূড়ান্ত পর্যায়ের বর্বর জাতিকে সোনার মানুষে পরিণত করেছেন, যার যুগান্তকারী রাজনৈতিক প্রজ্ঞায় পৃথিবী তার পট পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে, সেই সফল মানুষটির জীবনেতিহাস ধর্ম-বর্ণ সব শ্রেণির মানুষেরই জানা উচিত।দেড় হাজার বছর পরও পৃথিবীর শত কোটি মানুষের কাছে তিনি বিস্ময়কর রকমের গ্রহণযোগ্য এবং জনপ্রিয়। নির্দিষ্ট ভূগোলের বাসিন্দা হয়েও শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে তিনি সারা পৃথিবীর শত কোটি মানুষের হৃদয় অলিন্দে মর্যাদার সঙ্গে বসবাস করছেন। কী এমন ঐন্দ্রজালিক ক্ষমতা তার চরিত্রে ছিল, যার জন্য জীবন দেয়াকে মানুষ গর্বের বিষয় মনে করে?এই বিস্ময়কর মানুষটির ক্যারিশমাটিক জীবনালেখ্য জানা এবং উজ্জীবিত হওয়ার জন্য হলেও আপনাকে সীরাতগ্রন্থ পড়তে হবে।একটু ভাবুন, এক জীবনে আপনি কত বই পড়েছেন! আপনার নির্ঘুম রাতজাগা চোখ ফেসবুকের কত শত অক্ষরের ওপর বিচরণ করেছে! কিন্তু আমাদের প্রিয় নবীর সা. জীবনী জানবার জন্য আপনি কয়টা দিন আকুল হয়েছেন!তাই আসুন, আমরা প্রতিজ্ঞা করি—জীবনে একটি হলেও সীরাতগ্রন্থ পড়ব। রাসুলের সা. অনুপম চরিত্র-মাধুর্যে নিজের জীবনকে উদ্ভাসিত করতে হলে আপনাকে সীরাতগ্রন্থের কাছে আসতেই হবে।

আরও পড়ুন